কাপ্তাই উপজেলার নামকরণে ‘কত্থয়’ ও ‘কিয়ং’ শব্দ দু’টির প্রভাব রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। কত্থয় অর্থ কোমর ও কিয়ং অর্থ খাল। চন্দ্রঘোনা, রাইখালী, চিৎমরম, কাপ্তাই ও ওয়াগ্গা ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলার বিস্তৃতি। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’-কে চট্টগ্রাম জেলা থেকে আলাদা করে নতুন জেলা সৃষ্টি করার পর কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় এর সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। কাপ্তাইকে উপজেলায় রূপান্তরের পূর্ব পর্যন্ত এটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার একটি মহকুমা ছিল। এ উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান ২২০২১র্ হতে ২২০৩৫র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২০০৫র্ হতে ৯২০১৮র্ পূর্বে দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। উপজেলার উত্তরে কাউখালী ও রাঙ্গামাটি, পূর্বে বিলাইছড়ি, পশ্চিমে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও দক্ষিণে বান্দরবান। এ উপজেলায় বাঙালিসহ মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরুং, খিয়াং ও পাংখোয়া জাতিসত্ত্বার বসবাস রয়েছে। দেশের একমাত্র বাঁধটি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে কাপ্তাই উপজেলায় নির্মাণ করা হয়। দেশের প্রধান ‘জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র’, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ কাগজের কল ‘কর্ণফুলী পেপার মিল্স’, ওয়াগ্গা টি ষ্টেট, কাঠ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ও বাংলাদেশ টিম্বার এ উপজেলায় অবস্থিত। এসব শিল্প কারখানা দর্শনীয় স্থান হিসেবেও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত ‘‘মিশন হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা কাল হতে পার্বত্যাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চিৎমরমে অবস্থিত ‘বৌদ্ধ বিহার’টি বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থ ক্ষেত্র হিসেবে সুপরিচিত।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS